দীর্ঘ ১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার বিকাল থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় ৫১২ টন চালের চালান প্রবেশ করে বেনাপোল বন্দরে। আজ সোমবার সকালে চালের চালানগুলো বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়।
প্রতি মেট্রিক টন চাল ৩৪০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল হোসাইন ও মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ চিকন চাল আমদানি করে।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোটা চাল প্রতি টন ৩৮০ মার্কিন ডলারে ও চিকন চাল প্রতি টন ৪৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাস প্রদান করছেন। আমদানি মূল্যের ওপর ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ককর হিসাবে প্রতি কেজিতে ৯ টাকা ৯০ পয়সা আমদানি শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মো. মতিয়ার রহমান জানান, দেশে উৎপাদিত চালের বাজার মূল্য নিশ্চিত করতে গত বছরের ৩১ আগস্ট ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে বেড়ে যায় চালের মূল্য। চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় শর্ত সাপেক্ষে গত ৩০ জুন দেশের ৯৫ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে ৪ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান জানান, চাল আমদানির অনুমতির মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল রয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চালের এলসি খোলা সম্পন্ন ও ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানিকৃত চাল দেশে বাজারজাত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জারিন এন্টারপ্রাইজের মালিক আজিম উদ্দিন জানান, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের বঁনগা কালিতলা পার্কিংয়ে ১৭ দিন সিরিয়ালে আটকা ছিল চালের চালানগুলো। সরাসরি চালের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলে চাল দ্রুত খালাস করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের বাজারে দাম অনেকটা কমে আসবে।
পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ