চলতি মে মাসের ২৬ দিনে ১৬৫৪ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলার (১.৬৫ বিলিয়ন) ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে দেশ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি শ্রমিক বিদেশে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের অনেক দেশে বিশাল অদক্ষ এবং আধা দক্ষ জনশক্তির চাহিদা থাকায় রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপ প্রস্তুতি মধ্যপ্রাচ্যে সেবা খাতে ব্যাপক চাকরির চাহিদা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) তথ্য দেখায় যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমদানি পেমেন্টের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রেমিটেন্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সর পরিমাণ ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগামী মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। উৎসব উপলক্ষে প্রবাসীরা অতিরিক্ত অর্থ পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রণোদনা বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ করা এবং বাংলাদেশি টাকার অবমূল্যায়নের কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।
অর্থবছরের ১ জুন থেকে ২ মে পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।