তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে টিভি গ্রাহক আছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। কিন্তু ক্যাবল অপারেটররা গ্রাহক সংখ্যা কম দেখাচ্ছে। তাতে সরকার বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ক্যাবল অপারেটর জিজিটালাইজড না হওয়ায় সরকার এ রাজস্ব হারাচ্ছে।’
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ক্যাবল অপারেটরগুলো গত ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এবং চলতি বছরের জুনের মধ্যে সারাদেশে ডিজিটালাইজড করার কথা থাকলেও করতে পারেনি।
‘আমরা তাদের আরেকবার নির্দিষ্ট একটি সময় দেব। নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
ডিজিটালাইজড করতে কতদিন সময় দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ক্যাবল অপারেটরদের সাথে কথা বলে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ‘তবে আমার মতে আগামী এক বছরের মধ্যে ক্যাবল অপারেটর ডিজিটালাইজড করা সম্ভব,’ বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে ক্যাবল অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো টাকা নিচ্ছে। ‘ডিজিটালাইজড হলে সেটিও আমরা ঠিক করে দেবে। তারা (ক্যাবল অপারেটররা) নির্দিষ্ট এলাকার বাইরেও ব্যবসা করছে। ফলে অনেক সময় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়,’ যোগ করেন তিনি।
‘বর্তমানে ৩৪টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। সরকার অনুমোদন দিয়েছে ৪৫টির,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি টিভিগুলোতে আগে শৃঙ্খলা ছিল না। এখন শৃঙ্খলায় এনেছি।’
বিএনপি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনগণের স্বার্থে নয়, তারা শুধু আন্দোলন করে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার স্বার্থে।
‘জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার হক’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন দেবে কি দেবে না সেটি আদালতের বিষয়।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। এটিতে জামিন পাবে কিনা সেটি আদালতের বিষয়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপি যেভাবে বলছে তাতে মনে হয় খালেদা জিয়াকে সরকার আটক রেখেছে। এই মামলা তো রাজনৈতিক মামলা না, এটি দুর্নীতির মামলা।’
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা নতুন করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
এ মামলায় কারাবন্দী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন আগামী বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে জমা দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যকে (ভিসি) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এছাড়া এ মামলায় বিএনপি প্রধানের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত।
রবিবার জামিন শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মেডিকেল বোর্ডকে অ্যাডভান্স চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না এবং তার শরীরের বর্তমান অবস্থা, এই তিন বিষয়ে জানাতে বিএসএমএমইউ ভিসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।