নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে আবারও সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
গত ৩১ অক্টোবরের পর থেকে বিরোধী দলগুলোর এটি হবে নবম দফার অবরোধ কর্মসূচি।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে এই অবরোধ।
রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য এই অবরোধ করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে বহিষ্কার অব্যাহত
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
বিরোধী দলের হরতাল শেষ হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, যা আজ সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে।
হরতাল সফল করার জন্য দেশের জনগণ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো আট দফায় অবরোধ পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হরতাল পালন করবে বিএনপি
সর্বশেষ বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীরা বুধবার সকাল থেকে সারাদেশে ২৪ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা। এসময় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়াসহ বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এই সংঘর্ষটি অল্প সময়ের মধ্যেই নয়াপল্টনে ছড়িয়ে পড়লে সমাবেশটি মাঝপথে পণ্ড হয়ে যায়।