তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে; অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। রংপুরের জনসভাই তার প্রমাণ।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তার দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্বভুক্ত রংপুর বিভাগের সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ২ আগস্ট রংপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় পুরো শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।
তাতে যে দুইটি বিষয় প্রমাণ হয়েছে, তা হলো- রংপুর আজও অন্য কারও নয়; আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এই জনজোয়ার ধরে রাখতে হবে।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচির বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কয়েকদিন আগে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে পুলিশ ও আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা-নাশকতা করে শেষে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্মুখেরা এখন বিএনপির নাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায়ের ব্যাখ্যায় তারা বলেছে একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিএনপি মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোসহ সন্ত্রাসে লিপ্ত।
তিনি বলেন, সে কারণে বিএনপির কোনও সদস্যকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিএনপির মুখে এ নিয়ে কোনও কথা নেই।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি তাদের একটি বিবৃতিতে বিরোধী দলের বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ না করার জন্য বলে। কিন্তু তারা বিরোধী দলকে মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেনি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আগের সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান ছিলেন তারেকের বেয়াইন। সুতরাং, সেই সংগঠন কোনদিকে বলবে, তা সহজেই অনুমেয়।
মন্ত্রী বলেন, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ দেশে জীবন্ত মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ালে বা ফিলিস্তিনি শিশুদের ঢিল ছোঁড়ার জবাবে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণে পাখির মতো মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কোনও বিবৃতি দেয় না; তাদের বিবৃতি কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। অর্থাৎ এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী