ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে দলটির সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাসহ কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের  বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সাধারণ সম্পাদক রিভা ও রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, ছাত্রী নির্যাতন, হোস্টেল ও ক্যান্টিন দখলসহ কিছু অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তারা জুতার দোকান থেকেও চাঁদাবাজি শুরু করেছে।

রিভা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও তাদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। কলেজ প্রশাসন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

আরও পড়ুন: বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল এবং পাকিস্তানকে ভালোবাসে: ওবায়দুল কাদের

তাছাড়া ছাত্রীদের আবাসিক আসন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগে ৪৪ জনের মধ্যে ২৫ জন নেতা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেয়া হলে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীর ওপর রিভা ও রাজিয়ার অনুসারীদের হামলার পর রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ২৫ নেতা এ ঘোষণা দেন।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, চাঁদাবাজি, আসন বাণিজ্য ও হল দখলের অভিযোগ তুলে গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন জান্নাতুল ফেরদৌস।

সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে আহত অবস্থায় ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নেয় তার অনুসারীরা।

একটি অ্যাম্বুলেন্স তাকে নিতে আসলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতারা তাকে নিতে দেয়নি। অ্যাম্বুলেন্সটি ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে রিভা ও প্রতিদ্বন্দ্বী ইডেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুস্মিতা বারোইকে তুলে নিয়ে যায়।

ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বৈশাখী আক্তার বলেন,  ‘এটি রিভার একটি পরিকল্পিত নাটক। তিনি মিডিয়ার সামনে তার নির্দোষতা দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে ব্যর্থ।’

আরও পড়ুন:নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানকে আ.লীগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে আমরা রিভা ও রাজিয়াকে আমাদের একসঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে যোগ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের এবং তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের তা করতে দেয়নি।’

ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি সানজিদা ইসলাম বলেন, রিভা ও রাজিয়া হলের সিট বাণিজ্য, হলের ছাত্রীদের অবৈধ কাজ করতে বাধ্য করা, চাঁদাবাজি, ছাত্রাবাসে ছাত্রীদের নির্যাতনসহ একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও বলেন,  ‘আমাদের দাবি তাদের পদ থেকে অপসারণ করা। আমরা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে তাদের আর ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।’

আরও পড়ুন'নালিশ পার্টি' থেকে 'মাথা খারাপ পার্টি'তে পরিণত হয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী