নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগে স্থানান্তর করতে মন্ত্রিসভা সোমবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভা শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অধীনে হবে।’
তিনি বলেন, জন্মের পরপরই যে কোনো নাগরিকের জন্ম সনদ বা একটি অনন্য নম্বর পাওয়ার অধিকার থাকবে, যা অপরিবর্তিত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টে হবে একই নম্বর: মন্ত্রীপরিষদ সচিব
তবে প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পরপরই কার্যকর হবে না। বরং সরকার এর কার্যকারিতার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ইসি বর্তমানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী ২০০৭ সাল থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর আইন-২০২৩, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৩, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-২০২৩ এবং সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৩-এর খসড়াও মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (২য় সংশোধন) আইন-২০২৩ এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অব ডিসএবলড পারসনস অ্যাক্ট-২০২৩-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯- অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি অনুবিভাগ ইসি’র অধীনে রাখাসহ দাবি আদায়ে সময় বেঁধে দিলেন কর্মকর্তারা