মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আবেদনটি গ্রহণ করে বুধবার শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন।
সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুনকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট। কারাদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে তার আপিল এবং জামিন আবেদেনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পাশাপাশি নিম্ন আদালতে হারুনকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করার আদেশ স্থগিত এবং মামলার নথিপত্র তলব করা হয়।
হাইকোর্টের এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুদক আবেদন করে এবং তা চেম্বার বিচারপতির আদালতে আসে। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। হারুনের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদিন ও হারুনের স্ত্রী আইনজীবী সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া উপস্থিত ছিলেন।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এমপি হারুনের জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনটি বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। এই সময়ে এমপি হারুন যাতে বের হতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’
শুল্ক ফাঁকির মামলায় গত ২১ অক্টোবর ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৪ এমপি হারুনকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সেই সাথে এ মামলায় এনটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তারা উভয়ে পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, হারুন ২০০৪ সালে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় একটি শুল্ক মুক্ত গাড়ি আমদানি করেন এবং পরে ইশতিয়াকের সহযোগিতায় তা ৯৭ লাখ টাকায় এনায়েতুরের কাছে বিক্রি করে দেন।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইউনুস আলী ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ১৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০ আগস্ট বিচার শুরু করে।