তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস ও মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরা এগুলো শুরু করেছিলেন। তখন ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায় এগুলোর সাথে যুক্ত ছিল। তাই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন কে কোন দলের বা মতের তা না দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেখানে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া জিকে শামীম প্রতিমাসে ১ কোটি টাকা তারেক রহমানকে দিতেন। সেই সাথে বিএনপির অনেক নেতাকেও তিনি পয়সা দিতেন। ‘অর্থাৎ ক্যাসিনো কালচার যারা শুরু করেছিলেন তারাও নিয়মিত মাসোহারা পেতেন। আমরা কে কোন দলের বা মতের সেটি না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি।’
‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শীর্ষ পর্যায় থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। হাওয়া ভবন তৈরি করে প্রত্যেক ব্যবসায় ১০ শতাংশ কমিশন নেয়া হতো। তারেক রহমানের ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে,’ যোগ করেন তিনি।
ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে এত দিন কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবস্থা যে আগে নেয়া হয়নি তা নয়। ব্যবস্থা আগেও নেয়া হয়েছে। এখন একেবারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন, ‘চলমান এ অভিযান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়। আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন দল। আমরা সব সময় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আজকেও পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, সাতজন নামকরা, যাদের নাম বেরিয়ে এসেছে তাদের ছয়জনই অনুপ্রবেশকারী। এরা আওয়ামী লীগের নয়। এরা মীর্জা আব্বাসের সৃষ্টি, অথবা আরাফাত রহমান কোকোর সৃষ্টি। এ দানবগুলোকে তো এখন ধরা গেছে।’