সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত সাজা সাসপেন্ড (স্থগিত) করা হয় অনেকদিন সাজা খাটার পরে। অনেকদিন সাজা খাটার পরে সরকার বিশেষ বিবেচনায় এটা (সাজা স্থগিত) করে, করতে পারে।’
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশে বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে তিনি ২ বছর কারাগারে আটক রয়েছেন। তাই আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ছাড়াও তিনি একজন বয়ষ্ক অসুস্থ মহিলা, এ কারণেও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি জামিন প্রাপ্য।’
দলীয় নেত্রীর মুক্তির বিষয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা মোতাবেক কোনো সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার একমাত্র ক্ষমতা সরকারের হাতে। আমরা আশা করি সরকার প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আইনগতভাবেই চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।’
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘জেলখানায় যারা থাকেন এবং বহুদিন কারাভোগ করেন, ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী তাদের নানাবিধ বিবেচনায় রিমিশন দেয়া হয় এবং অনেক সময় স্থগিতও করা হয়। কিন্তু তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন, কেস মেক আউট করতে পারেন সে ব্যাপারে সরকার দেখবে।’
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।