খুলনা মহানগরীতে শনিবার অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় ফুলতলা উপজেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল ৯টায় ভৈরব নদীর ফুলতলা ও শিকিরহাট ঘাট দিয়ে নয়টি ট্রলারে করে যাত্রা শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে বিএনপি সমর্থকরা যাত্রায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ভাড়া করেছিল।
ফুলতলা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল ভূইয়া পারভেজ বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রলার বহরটি খুলনার ৫ নং ঘাট এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ লুৎফর রহমানসহ অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলার সময় শত শত নেতাকর্মী নিজেদের বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের অনেককে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
দলের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপি নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশটি দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মর্জিা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনও সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। ‘তাই শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে। এই শাসন দেশের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী’ ও ‘স্বৈরাচারী’ শাসনকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: খুলনায় মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আ. লীগ ১০ আসনও পাবে না: খুলনায় ফখরুল