তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছি। ইতিমধ্যে আমার পদত্যাগপত্রটি দলীয় সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কাছে জমা দিয়েছি।’
তার পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রেজা জানান, মহামারিজনিত কারণে তিনি এখনও এ নিয়ে ভাবেননি। ‘কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এবং দেশেই থাকবেন।
ড. রেজা দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ড. কামাল হোসেন ও গণফোরামের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ‘ড. কামাল হোসেনের সাথে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।’
আরও পড়ুন: গণফোরামের সব বহিষ্কার ‘অকার্যকর’: ড. কামাল
ড. কামালের গণফোরামের কাউন্সিল ১২ ডিসেম্বর
মন্টুসহ ৪ জনকে ‘শোকজ’ দিল ড. কামালের গণফোরাম
তিনি বলেন, তিনি ২০১৮ সালে আইএমএফ এর চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরেছিলেন এবং তার বাবার মতো জনগণের সেবা করার লক্ষ্য নিয়ে গণফোরামে যোগ দিয়েছিলেন।
‘গণফোরাম ছেড়ে দিলেও আমার বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়ার মতো আমিও জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আমি তাদের সাথে কাজ করে যাব,’ বলেন তিনি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আকস্মিকভাবে গণফোরামে যোগ দেন।
তিনি হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং পরাজিত হন।
মোস্তফা মহসিন মন্টুকে বাদ দিয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে ড. রেজাকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক করেন ড. কামাল। এতে দলীয় নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়।
ড. রেজাকে দলটির সাধারণ সম্পাদক করা হলেও অনেক নেতাই প্রথম থেকেই তাকে সহযোগিতা করেননি। যদিও দলীয় নেতা আবু সাইয়িদ এবং সুব্রত প্রাথমিকভাবে রেজা কিবরিয়ার পক্ষে ছিলেন, পরে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
অভ্যন্তরীণ বিরোধের পরে মন্টু, আবু সাইয়িদ ও সুব্রত চৌধুরীসহ কিছু দলীয় নেতাকে বহিষ্কার করেন রেজা কিবরিয়া।
সবশেষ, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, গণফোরামের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই কারণ তারা তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে পুনরায় একত্রিত হয়েছেন।