চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হেফাজতের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মুহিব্বুল্লাহ নিহতের ঘটনায় বিএনপি নেতা ইউনুস মনিকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার উপজেলার শিলক নটরের টিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি বলেন, মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউনুস। তাকে চট্টগ্রাম আদালতে নেয়া হচ্ছে। সেখানে পাঁচ দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ইউনুসকে আজ সকালে রাঙ্গুনিয়ার শিলক নামের একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. ইউনুছ মনিকে গ্রেপ্তার করতে দুর্গম পাহাড়ে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করতে হয়েছে। অবশেষে সকালে পাহাড়ে পলায়নরত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হন তারা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক আইনে বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩ এপ্রিল রাতে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজত ও বিএনপি নেতা কর্মীরা।
মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুহিব্বুল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলদার আজম লিটনের ওপর।
হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় মুহিব্বুল্লাকে চট্টগ্রাম শহরের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই ৬ এপ্রিল রাতে তিনি মারা যান।
পরদিন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জব্বার ও রাঙ্গুনিয়া থানার উপপরিদর্শক খোরশেদ আলম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ইউনুস মনিকে প্রধান আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় দুইটি মামলা করেন। দুই মামলায় ৬৪ জনের নাম ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।