বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দানবীয় শাসনের পতন ঘটাতে জনগণ মরিয়া হয়ে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিভাগীয় সমাবেশ দেখে আমার মনে হয়েছে জনগণ আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশকে সামনে রেখে বরিশালে যখন প্রতিটি যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল, তখন মানুষ সাঁতার কেটে নদী পার হয়ে সমাবেশে যোগ দিতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে মানুষ পরিবর্তন চায়।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে আন্দোলন দমনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, নগরী থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে র্যাব আটক করেছে এবং বরিশালে বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ ১১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া ভোলার বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, বিএনপি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যদি আমরা এই ভয়ঙ্কর দানবকে উৎখাত করতে এবং জনগণের সরকার গঠন করতে চাই তবে আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এর জন্য জোট গঠনের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে নাকি নির্বাচনকালীন সরকার হবে তা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
আন্দোলনের পর নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই আসুক সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।
এরপর রবিবার তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত আরেকটি সমাবেশে বক্তব্য দেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল