জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শুক্রবার বলেছেন, যেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব কমছে না, তাই দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে এই মুহুর্তে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, যেসব এলাকায় ভাইরাসের সংক্রমণ খুব বেশি সেসব এলাকায় করোনা চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে, তাই এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের এই দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, এই ভাইরাস প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে সমগ্র দেশ করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রায় ৯০ শতাংশ শয্যা পূর্ণ এবং বেশিরভাগ হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই।
সরকার করোনা রোগীদের সামান্য জটিলতায় চিকিৎসা দেয়ার জন্য হোটেল ভাড়া নেয়ার কথা ভাবছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, অত্যন্ত সংক্রামক করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধাজনক এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, চীন, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে করোনা চিকিৎসায় সাফল্য পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত: বিএসএমএমইউ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা প্রতি বছর বিভিন্ন সামরিক মহড়ার সময় তাড়াহুড়ো করে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে। ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির ক্ষেত্রে তাদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হলেই দেশ উপকৃত হবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে বাংলাদেশ নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ধরন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ৯৮ শতাংশের শরীরেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।