বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে স্থানান্তরের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকার তৈরি পোশাক খাতকে ধ্বংস করছে।
রবিববার (১২ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি পোশাক শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শিথিল করা এবং চার শ্রমিককে হত্যা করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় খাত গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) ১৯৭৪ সালের মতো আবারও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চান এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চান।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকারের প্ররোচনায় মালিকরা শনিবার ১৫০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে পুলিশ তৈরি পোশাক শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা ১১ হাজার তৈরি পোশাক শ্রমিককে আসামি করে মামলা করেছে।
রিজভী বলেন, ‘জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক ব্যবসা অন্য দেশে স্থানান্তর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি চান।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে শুধু বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নয়, পেশাদার গার্মেন্টস শ্রমিকরাও নিরাপদ নয়। এ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে চারজন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন দমনে সরকার আবারও সাদা পোশাকে পুলিশ ব্যবহার করে গুম করতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা কালো গ্লাসে ঢেকে মাইক্রোবাসে করে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে তুলে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি সাধারণ মানুষও রেহাই পাচ্ছে না। তারা র্যাব-পুলিশের নামে গণতান্ত্রিক শক্তির বাবা-মা, ছেলে, সন্তান, ভাই-বোনসহ আত্মীয়-স্বজনদের তুলে নিয়ে গুম করছে।’
ভোটের অধিকার ফিরে পেতে যারা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করছে তাদের বিরোধী না হতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি দাবি করেন, রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ৩৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৭৭০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী