সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীসহ সকল রাজনৈতিক দলে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বেডে শুয়ে রক্তাক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের রক্ষা করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের আন্দোলনের সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের আহ্বান জানাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আবেদন... আমি মনে করি পুরো জাতির এই আহ্বানে সাড়া দেওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী ও ভয়ানক শাসন থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে অংশ নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমানের (যাদু মিয়া) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান ফখরুল। তিনি বলেন, 'গতকাল (সোমবার) এই সরকার যা করেছে, বাংলাদেশে এর আগে তা কখনো দেখিনি। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের কখনো হাসপাতালে ঢুকে আহতদের ওপর হামলা করতে দেখিনি। এটা আমরা কখনো ভাবতে পারি না, এমনকি পাকিস্তান আমলেও না।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান নৃশংসতা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের জন্য তার সশস্ত্র ক্যাডারদের নামিয়েছে। ‘তারা (সরকার) ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে তাদের তথাকথিত শক্তি এবং আমলা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার