বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১টি দলের সমন্বয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে জোটটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও সদ্য আবির্ভূত জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
ফরহাদ বলেন, ‘আমরা (১১টি দল) ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজ (বুধবার) জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট গঠন করেছি। এই জোটের নাম জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।’
তিনি বলেন, গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তারা এই জোট গঠন করেছেন।
এনপিপি নেতা বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা এবং দলের ২৭ দফা দাবিতে আমাদের সমর্থন দিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে থাকব।’
নতুন ১১-দলীয় জোটের দলগুলো হলো ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জাগপা (খন্দকার লুৎফুর), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্প ধারা (নুরুল আমিন), সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট। পিপলস লীগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ১২টি দল নিয়ে '১২ দলীয় জোট' গঠিত হয়।
১২টি দলের মধ্যে রয়েছে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (তাসমিয়া প্রধান), এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী দল ও সাম্যবাদী দল।
নতুন দু’টি জোটে রয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট ও সাম্যবাদী দল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরহাদ বলেন, সাম্যবাদী দল ও ইসলামী ঐক্যজোট আমাদের সঙ্গে আছে, তারা এখন আর কোনো জোটে নেই।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোট ও পিপলস লীগের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানুল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল চারদলীয় জোট ২০-দলীয় জোটে সম্প্রসারিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের