বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে 'পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায়' যুবদলের এক নেতা নিহত ও এক হাজারের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি।
মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত হয়েছেন বলে শনিবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গুলি করে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন।’
যুবদল নেতা হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
এছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, সহিংসতায় অনেক গণমাধ্যমকর্মীও আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আহত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা আরও দাবি করেন, শনিবার থেকে তাদের দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই হাজারের বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
এদিকে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন জানান, নয়াপল্টনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শামীম আহত হন এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তবে পুলিশ জানায়, পেশায় গাড়িচালক শামীম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল হায়দার বলেন, শামীম সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে