পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর বেগম জিয়া করেছেন, বিএনপি মহাসচিব স্বপ্নে দেখেই এমন কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ইদানীং এমন অনেক দিবাস্বপ্ন দেখছেন, এটিও সেই দিবাস্বপ্নেরই অংশ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে ফখরুল সাহেবের এ বক্তব্য বছরের সেরা আবিষ্কার।
মিথ্যাচার বিএনপির ধর্ম এটা সবাই জানে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে দিনে দুপুরে নির্জলা মিথ্যাচারের একটি নতুন রেকর্ড।
মাওয়া ও পদ্মার অপরপ্রান্তে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন বেগম জিয়া, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর কাছে জানতে চেয়ে বলেন, কবে, কখন এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন? নব আবিস্কৃত সেই ভিত্তিপ্রস্তরের ছবি দেখতে চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশরত্ন শেখ হাসিনাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা ইতিহাসের অংশ।
তখনকার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত এবং এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ছবিও পত্র- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,যা এখনো সংগৃহিত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যা বলছেন তাতে মনে হয় কয়েকদিন পরে হয়তো বলবেন পদ্মা সেতু জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো গোয়েবলসীয় কায়দায় নিরেট মিথ্যাচারকে বারবার উচ্চারণ করে সত্যে রূপদানের অপচেষ্টা মাত্র।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অতীত ষড়যন্ত্র অব্যাহত মিথ্যাচার এবং গুজব এ সেতুর নির্মাণকে কোনভাবেই বন্ধ করতে পারেনি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মার বুকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নিজস্ব অর্থায়নে গৌরবের এবং সক্ষমতার সেতু নির্মিত হওয়ায় বিএনপি নেতারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছেন।
বিএনপি নিজেরা তো কিছুই করেইনি এখন দেশের উন্নয়নে তাদের গাত্রদাহ হয় দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে তাদের নানান অপপ্রচারের সাথে এখন যুক্ত হলো বেগম জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের রূপকথার গল্প।
তিনি বলেন, এ গল্প সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
পড়ুন: পদ্মা সেতু: উদ্বোধনের অপেক্ষায় খুলনাবাসী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী