সারাদেশে পুলিশের বিশেষ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের তথ্য সংগ্রহের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার জেলার সব থানার ওসিকে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পৃষ্ঠপোষকদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
‘বিএনপি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছে যে, ঢাকার বিশেষ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের সব জেলার পুলিশ সুপাররা নিজ নিজ এলাকার সব থানার ওসিদের কাছে ওয়ারলেস বার্তার মাধ্যমে এ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছেন। তারা বলেছে, বিরোধী দলের নেতা ও অনুসারীদের তথ্য সংগ্রহ করুন,’ বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সংবিধান বা দেশের প্রচলিত অন্য কোনো আইন বা বিধি অনুযায়ী পুলিশ এভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। ‘পুলিশ সুপার ওসিদের কাছে ওয়্যারলেস মেসেজ বা অন্য কোনো মাধ্যমে যে তথ্য চেয়েছেন তা বেআইনি ও স্বেচ্ছাচারী। এটি একটি বিচারবহির্ভূত এবং অননুমোদিত পদক্ষেপ।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে দমন করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিএনপি এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধ করে ভবিষ্যতে এ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাদের সমর্থক ও দাতাদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী, কোনো দলীয় বাহিনী নয়। পুলিশ বাহিনীর আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করার কথা নয়। আমরা মনে করি তাদের উদ্দেশ্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে হয়রানি করা।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা