আধিপত্যবাদী মনোভাবের কারণে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে গণতন্ত্র দেখতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু তারা চায় না ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা তাদের জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হোক।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টন থেকে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের পদযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, 'তারা কেন দিল্লির কথা মানবে?'
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য নয়, রক্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত যদি চট্টগ্রামকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে, তাহলে বাংলাদেশ বাংলা, বিহার ও ওড়িশাকে নিজের অংশ হিসেবে দাবি করবে।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ভারত গত ১৬ বছর ধরে 'রক্তপিপাসু লেডি ফারাও শেখ হাসিনা'কে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল তাদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশের মানুষের চেতনা, আত্মশক্তি ও সাহসিকতা বোঝেনি।
পরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে কয়েকশ গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে আগরতলা অভিমুখে তাদের ঘোষিত লংমার্চ শুরু করে।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আগরতলা অভিমুখে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ শুরু
তিন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে আনুষ্ঠানিক লংমার্চ শুরু করেন।
লংমার্চ শুরুর আগে তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তারা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টার নিন্দা জানান।
নেতারা বলেন, তারা আখাউড়া ভারতীয় সীমান্তে তাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ শেষ করবেন।