দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আবারও সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান।
খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতা বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদার) ছোট ভাই, শামীম ইস্কান্দার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।’
আবেদনে শামীম ইস্কান্দার খালেদা জিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জামিন দিয়ে বা অনুমতি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. আ জ ম জাহিদ হোসেনও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য পঞ্চমবারের মতো সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে তার পরিবার।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল
গত বছরের আগস্টে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু সরকার এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল যে একজন দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির এই সুযোগ পাওয়ার সুযোগ নেই।
বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার, তাকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছে।
এ বছর তৃতীয়বারের মতো স্বাস্থ্য জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারর্সন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল
তার মেডিকেল টিমের একজন চিকিৎসক বলেছেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে হৃদযন্ত্রের জটিল সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকার চতুর্থবারের মতো তার কারাবাসের মেয়াদ স্থগিত করে শর্ত দিয়েছিল যে তিনি দেশ ত্যাগ করবেন না এবং তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন।