ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিআরইউ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো রয়েছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোনো প্রতিবাদ হয়নি এটি সঠিক নয়। প্রতিবাদ হয়েছিল, তবে প্রতিবাদের ভাষা ছিল ভিন্ন।’
তিনি বলেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে টুঙ্গিপাড়ায় মাটিচাপা দিতে চেয়েছিল; সেটি তারা পারেনি। স্থানীয়দের প্রতিবাদের ফলে তার গোসল, জানাজা শেষে দাফন করা হয়। অস্ত্রের মুখে প্রতিবাদ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। বাকশাল একটি সরকারি রাজনৈতিক সংগঠন। ১৫ আগস্টের খুনিদের আড়াল করতে বাকশাল ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়।
বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান। সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে বঙ্গবন্ধুকে ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো অগ্রগতি হতে পারে না। ইতিহাসকে বাদ দিয়ে কখনো পথ চলা যায় না, যোগ করেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে গণমাধ্যমের ভালো সম্পর্ক ছিল। সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ভাবনাকে আগলে রেখেছিলেন। এখনো আগলে রাখতে হবে।
ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সময়ের আলো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শাহনেওয়াজ দুলাল, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ এবং ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।