দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রবীণ এই সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকতকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শওকতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে একই ধরনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া শওকত আবারও আলোচিত হন, যখন তিনি বৃহস্পতিবার লেখক ও কবি ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কিছু নাগরিক এবং বিরোধী দলের কিছু নেতার সম্মানে তারা নৈশভোজের আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত বিএনপির
গত বছরের এপ্রিলে একই ধরনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া শওকত আবারও আলোচিত হন, বৃহস্পতিবার যখন তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস বা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কিছু নাগরিক এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন দলের কিছু নেতার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন।
১০ বছর আগে চালু হওয়া প্ল্যাটফর্মের সদস্য সচিব শওকত এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য উপস্থাপন করেন এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে কথা বলেন।
তবে, বৈঠকে বিএনপির কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না এবং দলটি এমন একটি প্ল্যাটফর্মের হঠাৎ পুনরুজ্জীবনের পিছনে একটি অশুভ উদ্দেশ্যের কথা সন্দেহ করছে।
সোমবার তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমকে সন্দেহজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শওকত ও মজহার এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন যখন তাদের দল এবং আরও ৫০ জনেরও বেশি নেতা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য যুগপৎ আন্দোলন চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই সন্দেহজনক সংগঠনের আকস্মিক পুনরুজ্জীবনের পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও শওকত এমন একটি সন্দেহজনক সংগঠনের সদস্য সচিব হওয়ায় তারা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ওই বিএনপি নেতা জানান।
তিনি বলেন, শওকত দলীয় অনুমতি ছাড়াই এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে জড়িত থাকায় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে এ বিষয়ে আগেও সতর্ক করা হয়েছে।
দলের সম্মতি ছাড়াই রাজধানীতে সমাবেশ করে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গত বছরের ৭ এপ্রিল শওকতকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।
তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দিলেও দলটি তখন তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের