বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতাদের সাথে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল জামায়াতে ইসলামী: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে উন্নত রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যার শিকার হওয়ার কারণে তিনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে না পারলেও আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে এবং বাংলাদেশের সার্থকতা সেখানেই।’
‘আজকে অর্থনৈতিক, মানব উন্নয়ন, সামাজিক- সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি এবং অনেক সূচকে আমরা ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি, এখানেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যার সার্থকতা,’ বলেন হাছান মাহমুদ।
ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে ইসলাম ধর্ম লিজ দেয়া হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বিজয়ের ৪৯ বছর পরও আজ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মাঝেমধ্যে আস্ফালন করে এবং এর অন্যতম কারণ হলো বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে লড়াই করেছিল, দলগতভাবে সেই জামায়াতে ইসলামীকে বিএনপি তাদের জোটসঙ্গী করেছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না বিএনপি তাদের সাথে নিয়ে রাজনীতি করে এবং দিবানিশি স্বপ্ন দেখে এ দেশকে কীভাবে আবার পাকিস্তান-তালেবানি রাষ্ট্র বানানো যায়।’
মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের বলা ব্যক্তিদের পরবর্তী প্রজন্মই ভাস্কর্যবিরোধী: তথ্যমন্ত্রী
‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র রুখতে বিজয়ের এই দিনে আমাদের প্রত্যয়, বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করা।’
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল জামায়াতে ইসলামী।
মৌলবাদীগোষ্ঠীর অপচেষ্টা রুখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও সে দিন যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামী ও তাদের দোসর-অনুসারীরা এখনও বাংলাদেশে সক্রিয়।’
সম্প্রতি তিনি আরও বলেছিলেন, ‘যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের, ইসলামবিরোধী বলে ফতোয়া দিয়েছিল, তারাই আজকে ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। জাতির স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীদের এ ধরণের আস্ফালন মেনে নেয়া যায় না। তাই এদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
রাজনৈতিক মদদেই ফণা তোলার অপচেষ্টা করে মৌলবাদী অপশক্তি: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় তিনি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন।