সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের বিষয়ে সরকারের ঘোষণাকে ‘মিথ্যা’ প্রচারণা ছাড়া কিছুই নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, `মিডিয়া রিপোর্ট করেছে যে পুরো দেশকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। কিসের মূল্যে, কার মূল্যে- এটা করলেন? এটা করতে পারেনি; মিথ্যা কথা।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জনগণের টাকা লুটপাট করে বিপুল সম্পদ অর্জনের সুযোগ দিতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এসব মেগাপ্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন নেই।
সোমবার এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বৃহত্তম এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, প্রকৃত আয় না বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে টিসিবির ট্রাকের পিছনে গিয়ে যারা দাঁড়ায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার জন্য, তাদের কোনো উন্নতি হয়নি। আমার গ্রামের কৃষকের পণ্যের দাম বাড়েনি, তাদের কোনও উন্নতি হয়নি; আমার শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি, তাদের কোনও উন্নতি হয়নি। আজকে আমাদের যে শিক্ষক স্বল্প বেতনে চাকরি করেন, তার কোনও পরিবর্তন হয়নি; আজকে ছোট ছোট ব্যবসায়ী, হকার- তাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগি করে লুটপাট করছে, তাদের।
আরও পড়ুন: ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
ফখরুল আরও বলেন, দেশ এখন ‘লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই লুটপাটের স্বর্গরাজ্য আজকে নতুন না। এটা আওয়ামী লীগের কেমিস্ট্রির মধ্যে আছে। যখনই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পায়, তখনই তারা লুটপাট করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষকে ভয়ঙ্কর দুঃশাসন থেকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বর্তমান শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান শাসকের পতন নিশ্চিত করতে একটি বৃহৎ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের ঐক্য গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন তা জাতি হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন এদেশে নতুন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এসেছে... আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বর্তমান শাসককে আমাদের সরাতে হবে।’