সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বিরোধীদলের নেতাকর্মী ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি নিপীড়নমূলক আইন। কেউ সরকারের বিরোধীতা করলে বা ভিন্নমত পোষণ করলে, পরের দিন সকালেই তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটা মামলা করা হয়; সন্ধ্যায়ই আবার সে মামলা তুলে নেয়া হয়।
রবিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সহযোদ্ধা সহমর্মী জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাকটিভিস্টবৃন্দ নামক সংগঠন আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন। সভায় এমএম ওবায়দুর রহমান, কামরুল হাসান শাহীন, তানিমা সোমা ও শান্ত ইসলামসহ বিএনপির অন্যান্য প্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
এ সময় রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা করলে, প্রথম থেকেই আইনি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে। ওই বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বিএনপি
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হলে দীর্ঘদিনের আগে জামিন পাওয়া যায় না। এভাবেই দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি, যেখানে বাক স্বাধীনতা নেই। কেউ আমাদের অনুসরণ করছে কিনা তা দেখার জন্য, সবসময় ডানে-বামে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিভিন্ন 'ভয়ানক ও ঘৃণ্য' আইন ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং মুক্তচিন্তাকারীদের 'দমন' করছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসনের বিরুদ্ধে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতিকে উৎসাহিত করছে।
২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে একটি মাইলফলক হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণকে আরও প্রতারিত করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে চাকরির সুযোগ না থাকায় মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা এখন পিয়ন পদে আবেদন করেন। এটাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা বিএনপির