বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এই রিট দায়ের করেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। যার ৫৯ দিনের মাথায় তাকে নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর কারাবন্দী থাকার ৬ মাস ২৪ দিনের মাথায় হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে কারাগারের ভেতরে স্থাপিত আদালতে নেয়া হয়। এতদিন ‘অসুস্থতার কারণে’ তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি বলে জানায় কারাকর্তৃপক্ষ।
ওইদিন আদালতে হাজির হয়ে খালৈদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। পা ফুলে গেছে। চিকিৎসকরা বলেছে, পা ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। আমি আদালতে বারবার আসতে পারব না। আপনাদের যা মনে চায়, যতদিন ইচ্ছা আমাকে সাজা দিয়ে দেন।’
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘ন্যায়বিচার বলে কিছু নাই। অবিচার হচ্ছে। কথা বলা যায় না। ইচ্ছামতো আপনারা যা খুশি সাজা দিয়ে দেন।’
এরপর খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট করা হয়।