প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থার ঘাটতি থাকলেও তারা অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ নিতে চান।
তিনি বলেন, 'জনসাধারণের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে। আমাদের ও সরকারের ওপর কোনো আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে হয় না (মানুষ মনে করে)। আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ হয় সে চ্যালেঞ্জ আমরা নিতে চাই।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জন ইউএনও ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা মনিটরিং ও মিডিয়া নজরদারির মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যাতে আস্থার সংকট না হয় সেজন্য অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করব- নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা- তাদের আরপিও অনুযায়ী সঠিকভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বা বিতর্ক মাত্রাতিরিক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ (দায়) আমাদের ওপর পড়েছে। তাই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
সিইসি নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন থেকে আমরাও কঠোরভাবে মনিটরিং করব।
নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হতে পারে, তা মনে রাখতে বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, 'এটা অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০ ও ৭০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তবে ব্রিটিশ আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘটেছিল... তবে এর মাত্রা কিছুটা কম ছিল।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'বিশ্বাসযোগ্য' বলে একটি শব্দ আছে, যা সব দেশের আইনে রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে, নির্বাচন অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। ‘এটি কেবল তখনই বিশ্বাসযোগ্য হবে যখন আমরা আমাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারি।’
প্রচার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে দমন করবে ইসি।
তিনি বলেন, এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়, যাকে ভুল তথ্য বা কুতথ্য বলা হয়। তিনি বলেন, 'নির্বাচনে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আমরা কঠোরভাবে এসব প্রতিহত করব।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি