সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে, একটি মামলার বাদী কাজী আনিসুর রহমান। অপর মামলাটির বাদী অ্যাডভোকেট মো. সারোয়ার আলম।
ওই আদালতের পেশকার আবু আব্দুল্লাহ জুয়েল জানান, মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হলেও, এখনো এ বিষয়ে আদেশ দেয়নি আদালত।
তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন: সাঈদ খোকন
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নিজ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে শনিবার মন্তব্য করেন সাবেক মেয়র মো. সাঈদ খোকন।
তাপস সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাধারণ কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
খালের বর্জ্যের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিও অপসারণ করা হচ্ছে: মেয়র তাপস
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের উদ্যোগে হাইকোর্ট এলাকার কদম ফোয়ারার সামনে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব রাঘব বোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে আগে নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন, তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিন।’
উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক জঞ্জাল পেয়েছি: মেয়র তাপস
সাবেক এ মেয়র আরও বলেন, ‘বিনা নোটিশে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অবৈধভাবে হাজার হাজার বৈধ দোকান গুড়িয়ে দিয়েছে এবং এর ফলে হাজার হাজার দোকান মালিক ও কর্মচারী সপরিবারে পথে বসেছে। আমি ডিএসসিসির সাবেক মেয়র হিসেবে এ অবৈধ উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
বর্তমান একগুয়ে নগর প্রশাসন কোনো যৌক্তিক নাগরিক দাবির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ করে সাঈদ খোকন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এসব নিঃস্ব ও অসহায় ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের আবেদন জানান।