এ সময় তালতলা বাজারে শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটের পাশাপাশি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত তুষার (২৮) নামের এক যুবককে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আড়ানী পৌর সদরের তালতলা বাজারে আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী শহিদুজ্জামান শাহিদের পথসভা করছিলেন। এসময় আকস্মিক হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে শাহিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তার পথসভার শেষ মুহূর্তে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সশস্ত্র সমর্থক আকস্মিক হামলা চালায়। এসময় শাহিদের সমর্থকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
এর কিছুক্ষণের মধ্যে শাহিদসহ উপস্থিত নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে পাল্টা মুক্তারের সমর্থকদের হামলা করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় এবং গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে শাহিদের ভাগ্নে তুষার আহত হন। তালতলা বাজারের শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে তালতলা বাজারের উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে দুই প্রার্থীর প্রায় তিন হাজার সমর্থক সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: মৌলবাদদের পেছনে আওয়ামী লীগের হাত আছে: ফখরুল
রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ, বিএনপি মানুষকে হতাশ করেছে: জিএম কাদের
উল্লেখ্য, মুক্তার আলী বর্তমানে আড়ানী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একারণে তাকে আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করা হয়।