তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোসহ বিভিন্ন উপায়ে জনগণ ও আমাদের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে। এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত এক আলোচনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করছেন জানিয়ে তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সঠিক রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করার এক গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। ‘সরকার তাকে কারাগারে আটকে রাখা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। জনগণ তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তাকে মুক্ত করবে।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে বরং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার লক্ষ্য অর্জনে বিএনপি নেতাকর্মীদের শপথ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।
তার অভিযোগ, সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন ও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়ায় জনগণ এখন ক্ষমতাসীন দলের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
রাজনীতি ও দেশের প্রতি খালেদা জিয়ার আবদান স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া এশিয়ায় এক বিরল গণতন্ত্রপ্রেমী ও ত্যাগী নেতা। তিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ‘তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি এবং বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন।’