সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) কী শুরু করেছেন? আপনারা সংবিধানের কথা বলছেন। আপনারা আসলে সংবিধান নিয়ে রসিকতা করছেন। সংবিধানে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা লেখা আছে, কিন্তু আপনারা মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করেন। এই দুটি জিনিস কি একসঙ্গে যায়? সংবিধানে লিখেছেন যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, কিন্তু আপনারা বলছেন যে আপনারা কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতী না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দৈনিক দিন কালসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যমগুলো পুনরায় চালু করার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল 'কালো আইন' বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। ‘গণআন্দোলনকে দমন করা অসম্ভব। অতীতে কেউ তা করতে পারেনি। সব বাধা উপেক্ষা করে আমরা এগিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তাদের দল ক্ষমতায় ফিরলে তারা ‘বর্তমান সরকার অন্যায়ভাবে যেসব সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সেগুলো পুনরায় চালু করবে।’
যেসব টিভি চ্যানেল বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘মিথ্যা’ প্রতিবেদন ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, প্রকৃত সাংবাদিকতার স্বার্থে তাদের এ ধরনের চর্চা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ ক্ষমতাসীন দলকে তা নষ্ট করতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ এই সরকারকে উৎখাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষও একত্র হয়েছে এবং তারা কোনও দমনমূলক কর্মকাণ্ডকে ভয় পায় না।’
নজরুল ইসলাম খান শাসক দলকে ছদ্মবেশে চায়ের স্টলে গিয়ে বা বাসে চড়ে সরকার, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতাদের সম্পর্কে জনগণ কী বলে তা শোনার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে না সরালে বিপদে পড়বে বাংলাদেশের জনগণ: ফখরুল
আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস