১৯৭৫ এর আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও চেতনাকে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘৭৫ থেকে ‘৯৬ ইতিহাসের কালো অধ্যায়। এই সময়ে স্বাধীনতার ইতিহাসকে সুপরিকল্পিতভাবে বিকৃত ও ছিন্নভিন্ন করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সাম্প্রদায়িক চেতনাকে সব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।’
সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহিদদের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ একইসূত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা, নেপথ্যের কারিগর ও উপকারভোগীদের মুখ জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে একটি কমিশন গঠনের ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির উত্থানকে প্রতিহত করতে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হবার পরপরই বাঙালির উপর প্রথম আগ্রাসনটি ছিল সাংস্কৃতিক। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপর আগ্রাসন চালিয়ে সাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল পাকিস্তান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এখনও দেশে পাকিস্তানের সেই ধারা ফিরিয়ে আনতে চায়। সেজন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির উত্থান ও জঙ্গিবাদ-ধর্মান্ধদের রুখতে জনগণের মাঝে ব্যাপকহারে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাট্যজন ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা এমপি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান ও জোটের বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ধর্মান্ধদেরকে দেশের মাটিতে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী