জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার একটি বড় অংশ লুট হচ্ছে। এ কারণেই প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।
বুধবার দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে জিএম কাদের এই মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট ১০ হাজার অভাবী মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলমান থাকবে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, নার্সসহ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। অনেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে (কেন্দ্রীয়) অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই, যা মৃত্যুর হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।’
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেছেন, ‘সরকারের অবহেলার কারণে দেশ এমন ভয়াবহ করোনার পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ যখন তাদের জিডিপির ৫ থেকে ৬ শতাংশ চিকিৎসার যত্নে ব্যয় করছে, তখন আমরা কেবল এক শতাংশ ব্যয় করছি। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের একটি বিশাল অংশ লুট হচ্ছে। এই কারণে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: সিআরবির পরিবেশ ক্ষতি করে হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা: ৮ সংস্থাকে আইনি নোটিশ
সংসদের বিরোধীদলীয় উপ নেতা জিএম কাদের বলেছেন, ‘তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলে আসছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউন কার্যকর করার পরিবর্তে স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি করা উচিত।’
তিনি বলেছেন, ‘সরকারের অবশ্যই প্রকৃত দরিদ্র পরিবারের প্রত্যেককে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করেই করোনাকালে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দেয়া উচিত। এটি যদি হত, তবে অভাবী লোকদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে হতো না এবং এতে লকডাউনও কার্যকর হতো।’
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৭ হাজার ছাড়াল