বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বলতে হবে ২১ আগস্টের ঘটনাটি একটি করুণ ঘটনা। যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা ছিল দুষ্ট এবং অপরাধী।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে এই ঘটনায় জড়ানোর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা প্রমাণ করেছে যে এটি ছিল তাদের মাস্টারপ্ল্যান এবং শেখ হাসিনা এ সম্পর্কে জানতেন।’
ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত আবদুল মান্নানের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২১ আগস্টের মামলার অভিযোগপত্রে তারেকের নাম না থাকলেও বর্তমান সরকার তাকে আদালত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের ‘ব্যবহার’ করে এই মামলায় জড়িয়ে দেয়।
বিএনপি নেতা দাবি করেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূরক চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার রহস্য এখনও বের হয়নি। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসলেই এটি প্রকাশিত হবে। যদি সঠিক তদন্ত করা যায়, তবে স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে এই ঘটনাটি শেখ হাসিনার পরিকল্পনার অংশ ছিল।’
দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে রাজধানীতে দলটির সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী শুক্রবার।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ গ্রেনেড হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান।
অল্পের জন্য বেঁচে যান হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অধীনে একটি এবং হত্যার জন্য আরেকটি মামলা। সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।