তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র ক্ষমতায় থেকে জনগণের কল্যাণ করেছে তা নয়, ৭১ বছরের পথ চলায় বেশির ভাগ সময়ই দলটি ক্ষমতায় ছিল না, তখনও আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ১৯৪৯ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ গণমানুষের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা একটি দল এবং বাংলাদেশের সকল অর্জনের সাথে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে। সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যদি স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে হত্যা করা না হতো কয়েক দশক আগেই আমরা দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়ার চেয়ে অনেক উন্নত রাষ্ট্র থাকতে পারতাম।
‘আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবার পথে, ১৯৫০ সালের খাদ্য ঘাটতির জনপদ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ, গত সাড়ে ১১ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্য নেমে এসেছে অর্ধেকে,’যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
ভবিষ্যতে দলটির চ্যালেঞ্জ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘এটি দুঃখজনক যে, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর এখনও আমাদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি নিয়ে কথা বলতে হয়। একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনও তাদের সহযোগী স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি জামায়াতে ইসলামীর পৃষ্ঠপোষকতা করে। সাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িকতাকে ভুলণ্ঠিত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল। কিন্তু আজও এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়, আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলে। এগুলো অতিক্রম করাই আমাদের চলার পথের চ্যালেঞ্জ।’