গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত একটি কমিটির প্রাথমিক তদন্ত আংশিক ছিল এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য তাদের পূর্ণ তদন্ত প্রয়োজন।
শনিবার সকালে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের ভোট পর্যবেক্ষণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
আউয়াল বলেন, ইসি মাত্র ৫১টি বন্ধ কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছে, গাইবান্ধা-৫ এ বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তারপর সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
কমিটির নেতৃত্বে থাকা ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
গত ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। এটি গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা তিন মাস বা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত মুলতুবি থাকা অবস্থায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা সে বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না থাকলেও ইসি বলেছে যে একটি আসন শূন্য হওয়ার পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিয়ম অনুসরণ করার সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫-এর সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে খালেদার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে নেয়া হবে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনের স্থগিত নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সিইসি