নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি তাদের (আওয়ামী লীগের) উদ্দেশ্য কী। তারা ৭ জানুয়ারি বিভিন্ন স্থানে ব্যালট বাক্স স্থাপন করবে এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করবে। এটা এমন কোনো নির্বাচন নয়, যা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে মান্না এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে আছে সরকারি সিন্ডিকেট: মান্না
মান্না বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন প্রহসনের নির্বাচন না করে ভালো কিছু করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি, দেশের জনগণ এবং বিশ্ব সম্প্রদায় এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি বলছি, ভালো দিন আসছে। কী ঘটতে পারে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করুন। এটা সরকার বা আওয়ামী লীগের নির্বাচন নয়, এটা তাদের নির্বাসনে পাঠাবে। এটি দেখার জন্য অপেক্ষা করুন।’
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিষ্ক্রিয়তা ও রাজপথে অনুপস্থিত থাকার কারণে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই রবিবার দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে যোগ দেন মান্না। এদিকে অসুস্থ থাকায় জোটের সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
মান্না বলেন, ‘আমি এখনও অসুস্থ। আমি এখানে এসেছি কারণ আমার অবস্থান সম্পর্কে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্না দালাল নন।’
মান্না বলেন, সরকার যাই বলুক না কেন, জনগণ বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, তারা সরকার ও একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিভিন্ন দলকে বিভক্ত করে নির্বাচনের জন্য লোক নিয়োগের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার জন্য মান্না সরকারের সমালোচনা করেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব মোকাবিলায় তারা দেশব্যাপী অবরোধ আরোপ করছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য আমরা মাঝে মাঝে বিরতি দিই। তবে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আবার জেগে উঠছে।
এর আগে গণতন্ত্র মঞ্চের শতাধিক নেতা-কর্মী রাজধানীর বিজয়নগর ও তোপখানা রোড এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক মিছিল বের করে।
এদিকে বিজয়নগর, নয়াপল্টন, পুরাতন পল্টন, পান্থপথ ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ এবং সমাবেশ করেছে— গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, ১২ দলীয় জোট, বাম গণতান্ত্রিক জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, লেবার পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না: এম এ মান্নান
প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার