সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় শিশুর সঙ্গে মা-বাবা থাকলে যতক্ষণ স্ক্রিন দেখা হচ্ছে তা শিশুর মানসিক বিকাশে উপকারী হতে পারে।
ফ্রান্সের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিস নান্টেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত দুই দশকে প্রকাশিত ৪৭৮টি গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তাদের প্রাপ্ত ফল থেকে জানা যায়, বিশেষ করে অল্পবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে খেলাধুলা, ভাষার উন্নয়ন ও নির্বাহী কার্যকারিতায় টেলিভিশন ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইডি’র মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ড. এজটার সোমোগি বলেন, ‘আমরা শুনতে অভ্যস্ত যে স্ক্রিন একটি শিশুর জন্য খারাপ এবং এক ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখলে তা তাদের বিকাশে গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। যদিও এটি ক্ষতিকর হতে পারে, তবে আমাদের গবেষণা শিশু কতক্ষণ টেলিভিশন দেখছে তার ওপর নয়, বরং কি দেখছে অর্থাৎ মানের ওপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, দুর্বল কাহিনী বিন্যাস, দ্রুতগতির সম্পাদনা ও জটিল উদ্দীপনা শিশুর জন্য তথ্য নেয়ার বা বুঝতে পাড়ার বিষয়কে কঠিন করতে পারে। কিন্তু স্ক্রিনের বিষয়বস্তু শিশুর বয়সের জন্য উপযুক্ত হলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে শিশুকে মিথস্ক্রিয়ায় উৎসাহিত করে সেভাবে উপস্থাপন করলে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় মা-বাবা বা একজন প্রাপ্তবয়স্ক কেউ থাকলে তা শিশুর জন্য আরও উপকারী হতে পারে। কারণ শিশুরা মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে এবং প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারে।
ড. সোমোগি জানান, ‘তাদের (শিশু) মনোভাব বা আচরণে ও মিডিয়ার ব্যবহারে পরিবার যথেষ্ট পার্থক্য তৈরি করে।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই উল্লেখ করেছে, শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশে টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার প্রেক্ষাপটের পার্থক্য স্ক্রিন টাইমের শক্তি ও প্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষামূলক কর্মসূচীর সময় তাদের জ্ঞান অর্জনকে শক্তিশালী করা, একটি বিষয় বুঝতে সাহায্য করা এবং শিশুর মনে জাগা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য শিশুর সাথে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের নিজস্ব ‘আইডল’ প্রচারিত হবে ডিসেম্বরে
মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!