সাতক্ষীরায় অক্সিজেন বহনকারী ছেলেকে আটকে রাখা সেই এএসআই সুভাষ সেনকে প্রত্যাহার করে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়ে মোটর সাইকেল আটকানোর এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের বৈচনা গ্রামে বাড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান রজব আলী মোড়ল (৬৫)। বৃহস্পতিবার তাকে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলেকে আটকে রাখলো পুলিশ, অক্সিজেনের অভাবে মারা গেলেন বাবা
নিহত রজব আলীর ছেলে ওলিউল ইসলাম জানান, তাঁর বাবা আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছিল। অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার আগে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে শহরে যায়। পথে হাটেরমোড়ে পৌঁছালে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র সেন তাকে থামান। এরপর গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। জরুরি হওয়ায় কাগজপত্র রেখে এসেছেন জানালে এএসআই এক হাজার টাকা দাবি করেন। বাবার সংকটপন্ন অবস্থার কথা জানিয়েও ছাড় পাননি তিনি। পরে বাবার অক্সিজেন ক্রয়ের জন্য থাকা ৫০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দিলে গাড়ির চাবি ফেরত দেন।
তিনি বলেন, ‘এরপর অক্সিজেন নিয়ে বাড়িতে ফিরে মুর্মূষু বাবার মুখে পানি দেয়ার সাথে সাথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
অভিযোগের বিষয়ে এএসআই সুভাষ চন্দ্র জানান, মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। দেখাতে পারেননি সেজন্য বাড়ি থেকে কাগজপত্র এনে দেখাতে বলেছিলাম। অক্সিজেনের বিষয়টি জানার পর বলেছিলাম পরে এসে কাগজপত্র দেখিয়ে যেতে। তাকে বেশি সময় আটকে রাখিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মায়ের হাতে ছেলের গলা কেটে আহত
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, রাতেই এএসআই সুভাষ সেনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।