ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাতক্ষীরায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও দুপুর পর্যন্ত কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
এছাড়া উপকূলীয় নদী বেশ উত্তাল হওয়ায় এই এলাকার মানুষজন উদ্বেগের মধ্যে সময় পার করছেন। তবে অশনি মোকাবিলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসন জানায়, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ২৯৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে প্রায় দুই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া খাদ্য, তাবু ও নগদ তিন লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে অশনির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি
স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরবন উপকূলবর্তী শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় নদীর জোয়ারের পানি এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কারের কাজ চলছে। আম চাষিরা ঝড়ের ভয়ে অপুষ্ট আম গাছ থেকে পেড়ে ফেলছে। ফলে আম চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক এলাকায় কৃষকেরা এখনও বোরো ধান ঘরে তুলতে পারেনি। তবে কেউ কেউ ঝড়ের আগেই খেতের ধান বাড়ি তোলার জন্য রাত-দিন কাজ করছে।
শ্যামনগর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন বলেন, গত বছর আম্পানের ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি মানুষ। এরই মধ্যে অশনির সংকেত যেন মানুষের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঝড়ের আগেই যাতে সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন সেজন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।