তিনি বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিরন্ময়ী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। আমাদের এ ঐতিহাসিক অর্জন তথা আধুনিক বাংলাদেশের ভিত বঙ্গবন্ধুর হাতেই রচিত হয়েছে।’
বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লালমাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলা আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কৈশোরকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে ছিলেন সোচ্চার। বাঙালির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি পালন করেছেন নেতৃত্বের ভূমিকা। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রধান শক্তি-উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে তিনি ছিলেন সর্বদা বজ্রকণ্ঠ। কেবল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তিই নয়, বাংলাদেশের ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মুক্তি-সংগ্রামেও অন্যতম নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকী: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ‘বস্তুত তার সাধনার মধ্য দিয়েই ভাষা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিসম্ভব বাঙালির জাতীয়তাবাদের পূর্ণাঙ্গ রূপ সৃষ্টি হয়েছে। তার সৃষ্ট জাতীয়তাবাদের মহামোহনায় মিশেছে সমগ্র বাঙালি। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রয়াস নতুন প্রজন্মই এগিয়ে নেবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পরিবহন ব্যবস্থার কারণে অর্থনীতি প্রায় অচল হয়ে পড়ে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, এ দুটি বিষয় যদি ঠিক না থাকে তাহলে একদিকে যেমন খাদ্য উৎপাদন করলেও সাপ্লাই চেইনের কারণে তা মানুষের কাছে পৌঁছাবে না, অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সঠিকভাবে বিতরণ করা না গেলে শিল্প-কারখানা, শিক্ষা কোনোটাই হবে না। তাই এই দুটি বিষয়ের প্রতি তিনি অধিক গুরুত্ব দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের জন্য একটি সুন্দর বাসযোগ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, শিশুদের মাধ্যমেই তা পূরণ হবে।’
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ভবিষ্যদ্বাণী অসামঞ্জস্যপূর্ণ: অর্থমন্ত্রী
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ ঘোষ, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ইউছুফ ভূইয়া, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল, লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।