খুলনার বাজারে উঠেছে মৌসুমি ফল আম। সাতক্ষীরা অঞ্চলে উৎপাদিত গোবিন্দভোগ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে হলুদ ও লাল রংয়ের টসটসে আম দেখে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এর দাম করছে, আবার অনেকে দাম শুনে চলে যাচ্ছে।
খুলনাস্থ বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে আম বিক্রেতা মিজান জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে তিনি খুলনায় আম বিক্রি করছেন। সোনাডাঙ্গাস্থ ট্রাক টার্মিনাল থেকে ক্রয় করে তিনি ফেরি করে বিক্রয় করছেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ১৪ থেকে ১৫ কেজি আম বিক্রি করেছেন, দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ৪৯ ক্যারেট আম বিনষ্ট
খুলনা রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মো. আশিকুর রহমান আশিক দুপুর ১ টায় খুলনা সদর থানার সামনে দাঁড়িয়ে আম বিক্রি করছিলেন।
তিনি জানান, তার নিজস্ব কোন পুঁজি নেই। মহাজনের কাছ থেকে আম নিয়ে তিনি ফেরি করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। এ হিসেবে তিনি প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে ৪৫০ টাকা নেন। তিনি ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। গত দু’দিনে তিনি ৬০ কেজি আম বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন তিনি ভ্যানে ৮০ কেজি আম নিয়ে শহরে বের হন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
এদিকে, খুলনা বড় বাজার পাইকারী কাঁচা ও পাকা ফলের আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হায়দার পাটোয়ারি জানান, বাজারে আম উঠেছে বলে তিনি শুনেছেন। এখানো তার ঘরে পাকা আম আসেনি। যে আমের আটি হয়েছে সেগুলো ঘরে রেখে দিলে পেকে যাচ্ছে।
তবে প্রকৃত মৌসুমি আম আসতে এখনো ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
অপরদিকে, কেসিসির ট্রাক টার্মিনালস্থ পাইকারী কাচা বাজারের মেসার্স ঝালকাটি ট্রেডার্সের এক কর্মচারী জানান, গত দু’দিন ধরে আড়তে আম আসছে। আম সাতক্ষীরা থেকে ব্যাপারীরা তার আড়তে নিয়ে এসেছেন। গোবিন্দভোগ নামের এ ফলটি সব থেকে আগে পাকে। এটা খেতে খুব মিষ্টি। ২০ থেকে ২৫ ক্যারেট আম শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে এসেছে এবং তা খুচরা বিক্রেতারা কিনেছেন। প্রতিকেজি আম ৭০ টাকা দরে তার প্রতিষ্ঠান থেকে পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মহানগরীর ডাকবাংলা মোড় এলাকার ফুটপথের ফলের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে আম।
দুপুর ১ টায় এসএম এ রব শপিং কমপ্লেক্সের সামনে আম ক্রেতা নজমুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আম তার খুব পছন্দের ফল। দাম যদিও বেশী। আম দেখে তিনি লোভ সামলাতে না পেরে ১৫০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তাছাড়া দোকানি জানিয়েছেন যে আমগুলো খেতে খুব মিষ্টি।