মামলায় নুর মোহাম্মদ ও মো. আজিজ নামের দুই ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহত নুর মোহাম্মদ টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার বাসিন্দা এবং মো. আজিজ একই ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা।
সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এ দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে।
নিহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম ও মো. আজিজের মা হালিমা খাতুন বাদি হয়ে এ দুই মামলার আবেদন করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী নূর হোসেন নাহিদ মো. মোস্তফা এ তথ্য জানান।
দুটি মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
নিহত নূর মোহাম্মদের মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৯ মার্চ বীজ ও সার আনতে কৃষি অফিস থেকে কৃষি সরঞ্জাম ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তার পরিবারর থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে মারা হবে হুমকি দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে বিভিন্নভাবে যোগাড় করে পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু ২১ মার্চ রাতে স্ত্রী লায়লা বেগম নুর মোহাম্মদকে থানা থেকে বের করে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রাজারছড়া এলাকায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে নুর মোহাম্মদকে কয়েকজন পুলিশ তুলি ঝাউবাগানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
অন্যদিকে নিহত মো. আজিজের মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর টেকনাফ থানার একদল পুলিশ মো. আজিজ, নুর হাসান ও আবুল খায়ের নামের তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মো. আজিজের পরিবার থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করে ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে হুমকি দেয়।
এতে নিরুপায় হয়ে বিভিন্নভাবে ৫০ হাজার পুলিশ দেয় আজিজের পরিবার। কিন্তু ১৯ অক্টোবর রাতে মহেশখালীয়াপাড়া নদীঘাট এলাকায় আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।