করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর জেলা পুলিশের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলা পুলিশের উদ্যোগে সংক্রম প্রতিরোধে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রার্থনার সময়ে করোনা মহামারির কঠিন সময়ে জনগণের করণীয় ও বর্জনীয় দিক সম্পর্কে সচেতনতামূলক বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলার সকল জনসাধারণকে সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির সময়ে ঘরে থাকার এবং সরকারের প্রজ্ঞাপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিভিন্নভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে জেলার নয় উপজেলার ৬৫টি মসজিদে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ অফিসাররা মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণার অংশ হিসেবে করোনাকালে সচেতনতামূলক বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে জুমার নামাজ: রাজধানীর দুটি মসজিদে ভিন্ন চিত্র
তিনি বলেন, নামাজের পরে বা আগে মসজিদে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে করোনা মহামারির কঠিন সময়ে জনগণের করণীয় ও বর্জনীয় দিক সম্পর্কে সচেতনতামূলক বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, স্থানীয় জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়া। সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, লোক সমাগম এড়িয়ে চলা, হাট-বাজারে চায়ের দোকানে অহেতুক আড্ডা না দেয়াসহ বিভিন্ন সরকারি বিধি নিষেধ মেলে চলতে বিভিন্ন উপায়ে অনুরোধ করা হয়।
তিনি বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রার্থনার সময়ে প্রত্যেকটি থানার অফিসাররা উপস্থিত সকলকে করোনার এই সময়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ঘন ঘন হাত ধোঁয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এই সকল প্রচারণায় সাধ্যমত পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খাওয়া, জ্বর, সর্দি ও কাশি কিংবা অন্য কোন উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে নিকটস্থ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এছাড়াও সকল নাগরিককে করোনা মহামারিতে তার পার্শ্ববর্তী অসহায়, নিঃস্ব, দরিদ্র ও কর্মহীন লোকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৫০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের পিসিআর ল্যাবে ৩৭৬ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮০ জনের। এই সময় প্রাণহানি হয়েছে ১৬ জনের। এদের মধ্যে সাতজন করোনায় ও নয় জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।