এ ঘটনায় ভিকটিমের মা রবিবার বাদী হয়ে মেঘনা থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সম্রাট নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- মানিকারচর গ্রামের হৃদয় আহমেদ (২১) ও মো. হৃদয় (২০)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে ওই কিশোরী তার আট বছরের ভাগ্নিকে নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে শাক তুলতে যায়। পথে মানিকারচর গ্রামের হৃদয় আহমেদ, মো. হৃদয় ও সম্রাট কিশোরীর পথ রোধ করে। সম্রাট কিশোরীর ভাগ্নির মুখ চেপে ধরে দূরে নিয়ে যায়, অন্য দুইজন কিশোরীর মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের চিৎকারে মা ও বড় বোন এগিয়ে গেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণে জন্ম নেয়া সন্তানের স্বীকৃতি মিলল ১৩ বছর পর
এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করে কিশোরীর মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, স্বামী অসুস্থ। আমি ২০০ টাকা রোজে প্রতিদিন মাটি কাটার লেবার হিসেবে কাজ করি। এর আগেও অনেকবার ওরা রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছে। মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। মেয়ের এই সর্বনাশের উপযুক্ত বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবার যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
মেঘনা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমরা আসামি সম্রাটকে গ্রেপ্তার করেছি। সে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাকে কুমিল্লা কোর্টে প্রেরণ করেছি। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মেডিকেল চেকআপের জন্য আলামতসহ কুমিল্লা পাঠিয়েছি।’
এদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপার রয়েড়া গ্রামে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তরিকুল জোয়ার্দ্দার (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, অভিযুক্ত তরিকুল জোয়ার্দ্দারের সাথে ভিকটিম শিশুটির বাবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। রবিবার বিকালে তরিকুল ওই বাড়িতে যায়। সেখানে কাউকে না পেয়ে ঘরের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে তার মা এগিয়ে এলে তরিকুল পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে শৈলকুপা থানায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।