গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ২৮২
এদিকে, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে সকাল ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ২৭৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৭৫ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯৯ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অপরদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৮৫টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩০ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৭৬৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮২৩ জন এবং মারা গেছেন ২৪৫ জন।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১৫৩ জন, দৌলতপুরে ৪৪, কুমারখালীর ২৪, ভেড়ামারার ৩৪, মিরপুরের ২৯ ও খোকসা উপজেলায় আট জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৫ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬২ হাজার ৯৮১ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৫৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২৩৯ জন।