কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলার কুমারখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া এলাকায় গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের (নির্মাণাধীন) গড়াই নদী থেকে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ছোট ভাই মাহবুব রহমান ও কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিক রুবেলের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রুবেল (৩১) কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি রুবেল ঠিকাদারি এবং কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজারে পৈত্রিক কাঁচামালের আড়ত দেখাশোনা করতেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লক এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ফজলে এলাহীর প্রতি যাতে অন্যায় না হয়, দেখবেন তথ্যমন্ত্রী
জানা গেছে, গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন রুবেল। গত ৩ জুলাই হাসিবুর রহমান রুবেল রাত ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে তার পত্রিকা অফিসে থাকা অবস্থায় মোবাইলে একটি কল এলে তিনি অফিস পিয়নকে বাইরে থেকে আসছি বলে বের হন। এরপর থেকে তার সবগুলো মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই কুষ্টিয়া মডেল থানার জিডি করেন তার ছোট ভাই মাহবুব।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ব্রিজের নিচে নদীতে লাশ ভেসে ওঠে। পরনের জামা-কাপড়, মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তার পরিবারের লোকজন সাংবাদিক রুবেলের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন জেলার সাংবাদিকরা। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু সাংবাদিক রুবেলের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।